Ads Area

ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য - Famous Architectures of India in Bengali

ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য - Famous Architectures of India in Bengali

Various Architectures of India in Bengali
Various Architectures of India in Bengali

নমস্কার বন্ধুরা,

এই পাঠে আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম ভারতবর্ষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যের নাম, সময়কাল, অবস্থান, প্রতিষ্ঠাতা ও স্থাপত্য সম্পর্কিত কিছু তথ্য।


ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য এই বিষয়টি Bengali Static Gk, Static Gk Bangla, Bangla Gk, Gk in Bengali, History Gk, History Gk in Bengali ইত্যাদির অংশ হিসাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য অর্থাৎ Different Architectures of India এই টপিক থেকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয় থাকে। আজ আমরা জেনে নেবো ভারতের তেমনই কিছু অপূর্ব স্থাপত্য নিদর্শনের কথা। সময়-সুযোগ মিললে ঘুরে আসতে পারেন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর ইতিহাসের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা সেসব স্থাপত্যের দুনিয়া থেকে।


আজকের ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য আলোচনা থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে জানতে পারবেন যেমন, ভারতের মধ্যযুগের স্থাপত্য, আদি মধ্যযুগের স্থাপত্য শিল্পের ভূমিকা,স্থাপত্যের ইতিহাস, স্থাপত্য ও ভাস্কর্য উদাহরণ ইত্যাদি।


পাঠের শেষে আপনাদের জন্য দেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্নোত্তর যেগুলি আগামী প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য খুবই কার্যকরি থাকবে।






ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থাপত্য


১. তাজমহল


✤ সময়কাল ➙ ১৬৩২ - ১৬৫৩ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট শাহজাহান

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের স্থাপত্যগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হল তাজমহল। শাহজাহান তার প্রিয় পত্নী মমতাজ মহলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে আগ্রা শহরে যমুনা নদীর তীরে এটি স্থাপন করেন। পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম এই স্থাপত্য। ১৯৮৩ সালে UNESCO এই স্থাপত্যকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



২. সাঁচির স্তুপ


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক

✤ অবস্থান ➙ ভোপাল শহরের কাছে (মধ্যপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মৌর্য সম্রাট অশোক

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের কাছে এই স্থাপত্যের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৮৯ সালে UNESCO এই স্থাপত্যকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



৩. সিংহশীর্ষ স্তম্ভ


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতক

✤ অবস্থান ➙ সারনাথ (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মৌর্য সম্রাট অশোক

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ স্বাধীন ভারত সরকার এটিকে জাতীয় প্রতীক হিসাবে গ্রহণ করেছে।



৪. অজন্তা গুহা


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতক

✤ অবস্থান ➙ ঔরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গুপ্ত রাজবংশ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ বৌদ্ধ চিত্রশিল্পের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ৩০টি গুহামন্দির রয়েছে। ১৯৮৩ সালে UNESCO এই স্থানকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



৫. ইলোরা গুহা


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতক থেকে সপ্তম শতক

✤ অবস্থান ➙ ঔরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গুপ্ত রাজবংশ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ৩৪টি গুহাচিত্র আছে। বৌদ্ধ, জৈন ও হিন্দু শিল্পের নিদর্শন রয়েছে। ১৯৮৩ সালে UNESCO এই স্থানকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



৬. নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতক

✤ অবস্থান ➙ পাটনা শহরের নিকট (বিহার)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাচীনকালে বহু পন্ডি ত এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন, তাদের মধ্যে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং অন্যতম। ২০১৬ সালে UNESCO এটিকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



৭. জগন্নাথ মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতক

✤ অবস্থান ➙ পুরী (ওড়িশা)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গঙ্গ রাজা অনন্ত বর্মন চোরগঙ্গ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ হিন্দু পুর্নার্থীদের কাছে এই মন্দিরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই মন্দিরে প্রভু জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা এই তিন দেব-দেবীর উপাসনা করা হয়। এই মন্দির থেকেই পুরীর রথযাত্রার সূচনা করা হয়ে থাকে।



৮. বিক্রমশীলা বিশ্ববিদ্যালয়


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতক

✤ অবস্থান ➙ ভাগলপুর শহরের কাছে (বিহার)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ পাল রাজা ধর্মপাল

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ প্রাচীন ভারতের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিব্বতি ধর্ম ও ভাষা সম্পর্কে বিশেষ বিভাগ ছিল।



৯. বিরূপাক্ষ মন্দির


✤ সময়কাল ➙ ৭৪০ খ্রিষ্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ হাম্পি (কর্ণাটক)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ চালুক্য রাজা দ্বিতীয় বিক্রমাদিত্য

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় রীতিকে নির্মিত এই মন্দির, চালুক্য স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ নিদর্শন।



১০. সূর্য মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতক

✤ অবস্থান ➙ কোণারক (ওড়িশা)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গঙ্গ রাজা প্রথম নরসিংহদেব

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ প্রাচীন ভারতের মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৪ সালে এই মন্দির বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পায় UNESCO থেকে।



১১. মহাবলীপুরমের রথ মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক

✤ অবস্থান ➙ মামল্লপুরম (তামিলনাড়ু)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ পল্লবরাজ প্রথম নরসিংহবর্মন

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় শিল্পরীতিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ১৯৮৪ সালে UNESCO এই মন্দিরকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



১২. কৈলাস নাথ মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক

✤ অবস্থান ➙ কাঞ্চী (তামিলনাড়ু)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ পল্লবরাজ দ্বিতীয় নরসিংহবর্মন

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় শিল্পরীতিতে তৈরি হিন্দু মন্দির। এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা হল শিব।



১৩. ইলোরার কৈলাস মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক

✤ অবস্থান ➙ ঔরঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ রাষ্ট্রকূটরাজ প্রথম কৃষ্ণ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ইলোরা গুহাতে পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হয় বিখ্যাত এই শিব মন্দির।



১৪. খাজুরাহ মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় দশম শতক

✤ অবস্থান ➙ মধ্যপ্রদেশ

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ চান্দেলা রাজবংশ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ প্রাচীন হিন্দু ও জৈন মন্দিরের সমষ্টিক্ষেত্র। এই মন্দিরগুলি হিন্দু 'নাগররীতির' স্থাপত্যের প্রতীক। UNESCO ১৯৮৬ সালে এই স্থাপত্যকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।



১৫. দিলওয়ারা জৈন মন্দির


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতক

✤ অবস্থান ➙ মাউন্ট আবু (রাজস্থান)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ সোলাঙ্কিরাজ সিদ্ধরাজা

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষে অবস্থিত জৈন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় মন্দির।



১৬. রানি কি ভাভ


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় একাদশ শতক

✤ অবস্থান ➙ পাঠান (গুজরাত)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ সোলাঙ্কিরাজ প্রথম ভীমের পত্নী উদয়মতী

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ সোলাঙ্কি রাজ প্রথম ভীমের পত্নী উদয়মতী তার স্বামী প্রথম ভীমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন। এই স্থাপত্যটি ২০১৪ সালে UNESCO বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নতুন একশো টাকার মুদ্রায় এই স্থানটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।



১৭. বৃহদেশ্বর মন্দির


✤ সময়কাল ➙ ১০১০ খ্রিষ্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ তাঞ্জাভুর (তামিলনাড়ু)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ চোল রাজ প্রথম রাজরাজ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ দক্ষিণ ভারতীয় দ্রাবিড় শিল্পরীতিতে নির্মিত এই মন্দিরটি চোল শিল্পকলার উৎকৃষ্ট নিদর্শন। ২০০৪ সালে এই স্থাপত্য UNESCO বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।



১৮. কুতুবমিনার


✤ সময়কাল ➙ ১১৯৩-১২২০ খ্রিষ্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ কুতুবউদ্দিন আইবক শুরু করেন এবং তার জামাতা ইলতুৎমিস শেষ করেন।

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ স্থাপত্য। বিখ্যাত সুফি সন্ত 'খাজা কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকীর' স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়। UNESCO ১৯৯৩ সালে এই স্থাপত্যকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।



১৯. এলিফ্যান্টা গুহা


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক

✤ অবস্থান ➙ মুম্বাই শহরের নিকট এলিফ্যান্টা দ্বীপে (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ রাষ্ট্রকূট রাজ বংশ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এই স্থাপত্য হিন্দুদেবতা শিবকে উৎসর্গ করে মণ্ডলা পদ্ধতিতে পাথর কেটে নির্মাণ করা হয়েছে। এই গুহায় শিবের তিনমূর্তি ও নটরাজ মূর্তি খোদাই করা রয়েছে। ১৯৮৭ সালে এই স্থান UNESCO এর তরফ থেকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।



২০. আড়াই দিন কা ঝোপড়া


✤ সময়কাল ➙ ১১৯৯ খ্রিষ্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আজমীর (রাজস্থান)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ সুলতান কুতুবউদ্দিন আইবক

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এটি ভারতবর্ষের পুরাতন মসজিদগুলির অন্যতম। ঐতিহাসিকদের মতে এই মসজিদ তৈরি করতে আড়াই দিন সময় লেগেছিল বলেই এই নামকরণ।



২১. আলাই মিনার


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতক

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এই স্থাপত্যটি দিল্লির কুতুবমিনার কমপ্লেক্সে অবস্থিত একটি অসমাপ্ত স্থাপত্য। আলাউদ্দিন খলজি চেয়েছিলেন কুতুবমিনারের থেকেও লম্বা এই স্থাপত্য তৈরি করতে কিন্তু তার মৃত্যুতে এই প্রচেষ্টা বাধাপ্রাপ্ত হয়।



২২. হজ খস


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতক

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ সুলতান আলাউদ্দিন খলজি

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ 'হজ খস' কথার অর্থ হল 'রাজকীয় জলাধার'। সিরি দুর্গে জল পরিবহনের উদ্দেশ্যেই এটি নির্মাণ করা হয়।



২৩. আরামবাগ


✤ সময়কাল ➙ ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট বাবর

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে বাবরের মৃত্যুর পর এখানেই তাকে সমাধিস্থ করা হয়।



২৪. হুমায়ুনের সমাধিক্ষেত্র


✤ সময়কাল ➙ ১৫৬৫-১৫৭২ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের পত্নী হাজি বেগম

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ তাজমহলের আদিরূপ এই সমাধিক্ষেত্র। চারবাগ পদ্ধতির অনুকরণে এই সমাধি নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৩ সালে UNESCO এই স্থানটিকে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়।



২৫. পুরানা কেল্লা


✤ সময়কাল ➙ খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতক

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ শেরশাহ শুরি

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ দিল্লি শহরের যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থাপত্যকে পুনরুদ্ধার করেন আলেকজান্ডার কানিংহাম। ভারতবর্ষে অবস্থিত অন্যতম পুরাতন এই কেল্লা।



২৬. বুলন্দ দরওয়াজা


✤ সময়কাল ➙ ১৫৭২ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রার নিকট ফতেপুর সিক্রি (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট আকবর

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ নিজের গুজরাট জয়কে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে আকবর এটি নির্মাণ করেন। এটি ভারতবর্ষের বৃহত্তম প্রবেশদ্বার।



২৭. আগ্রা দুর্গ


✤ সময়কাল ➙ ১৫৬৫-১৫৭৩ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট আকবর

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ লাল বেলে পাথরে নির্মিত এই দুর্গ মুঘল স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুঘল রাজসভা এখানেই আয়োজন করা হত। ১৯৮৩ সালে এই স্থাপত্য UNESCO বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি পায়।



২৮. ঈগলের বাসা


✤ সময়কাল ➙ ১৬৭৪ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ রায়গড় (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ ছত্রপতি শিবাজী

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ রায়গড় দুর্গে নিজের রাজ্যাভিষেককে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছত্রপতি শিবাজী এই স্থাপত্য নির্মাণ করেন।



২৯. গোলগম্বুজ


✤ সময়কাল ➙ ১৬২৬-১৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ বিজাপুর (কর্ণাটক)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মহম্মদ আদিল শাহ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের বৃহত্তম গম্বুজ যা ১৪৪ ফুট লম্বা এবং এটি ইসলাম রীতিতে নির্মিত।



৩০. স্বর্ণমন্দির গুরুদ্বারা


✤ সময়কাল ➙ ১৫৮১-১৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ অমৃতসর (পাঞ্জাব)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ গুরু রামদাস নির্মাণের কাজ শুরু করেন এবং গুরু অর্জুন সিং সমাপ্ত করেন।

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের বৃহত্তম গুরুদ্বারা। লক্ষ লক্ষ শরণার্থী প্রতিদিন এই পবিত্র গুরুদ্বারায় নিজেদের প্রার্থনা নিয়ে উপস্থিত হন। ১৬০৪ খ্রিস্টাব্দে এখানে আদি গ্রন্থের সূচনা করা হয়।



৩১. বিজয় স্তম্ভ


✤ সময়কাল ➙ ১৪৪৮ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ চিতোরগড় (রাজস্থান)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মেওয়ারের রাজা রাণা কুম্ভ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ মালয় ও গুজরাতের মিলিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মেওয়ারের জয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করা হয়।



৩২. লালবাগ


✤ সময়কাল ➙ ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ বেঙ্গালুরু (কর্ণাটক)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ হায়দার আলী

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এই স্থাপত্যটি আসলে একটি উদ্ভিদের বাগান। এখানে বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া যায়।



৩৩. আকবরের সমাধিক্ষেত্র


✤ সময়কাল ➙ ১৬০৫-১৬১৩ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রা নিকট সিকান্দ্রা শহরে (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ আকবর শুরু করেন পরে তার পুত্র জাহাঙ্গীর শেষ করেন।

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ মুঘল সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ সম্রাট আকবর তার মৃত্যুর পর এখানেই সমাধিস্থ হন।



৩৪. ইদমদ-উদ-দৌলার সমাধি ক্ষেত্র


✤ সময়কাল ➙ ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আগ্রা (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের পত্নী নুরজাহান বা মেহেউরনিসা

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের পত্নী নুরজাহান বা মেহেউরনিসা তার পিতা গিয়াসবেগ বা ইদমদ-উদ-দৌলার স্মরণে এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন।



৩৫. চারমিনার


✤ সময়কাল ➙ ১৫৯১ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ হায়দ্রাবাদ (তেলেঙ্গানা)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ কুতুবশাহি সাম্রাজ্যের সুলতান মহম্মদ কুয়ালি কুতুবশাহ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ কুয়ালি কুতুবশাহ তার রাজ্যের রাজধানী গোলকুন্ডা থেকে স্থানান্তরিত করেন হায়দ্রাবাদে। হায়দ্রাবাদ শহরের প্রবেশদ্বার হিসাবে তিনি এই চারমিনার নির্মাণ করেন।



৩৬. লালকেল্লা


✤ সময়কাল ➙ ১৬৩৯-১৬৪৮ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ দিল্লি

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট শাহজাহান

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতীয় ইতিহাসে এই স্থাপত্যটির গুরুত্ব অপরিসীম। ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই স্থাপত্যটি ছিল মুঘল সাম্রাজ্যের সদস্যদের বাসস্থান। দেশ স্বাধীন হবার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী এই লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের সূচনা করে থাকেন। ২০০৭ সালে এই স্থাপত্য UNESCO বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পায়।



৩৭. বিবি কা মকবারা


✤ সময়কাল ➙ ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ ঔরাঙ্গাবাদ (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব তার স্ত্রী দিলরাস বানু বেগমের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাজমহলের অনুকরণে এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন।



৩৮. যন্তর মন্তর


✤ সময়কাল ➙ ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ জয়পুর (রাজস্থান)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ রাজপুত রাজা দ্বিতীয় জয়সিংহ

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এই স্থাপত্যটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের জন্য বিখ্যাত। ২০১০ খ্রিস্টাব্দে এই স্থানটিকে UNESCO বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দান করে।



৩৯. শালিমার বাগ


✤ সময়কাল ➙ ১৬১৯ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ শ্রীনগর (জম্মু ও কাশ্মীর)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এই স্থাপত্যটি মুঘল সম্রাট 'জাহাঙ্গীর' তার স্ত্রী নুরজাহানকে খুশি করবার জন্য নির্মাণ করান। জবাফুলের বাগান, ফোয়ারা সমৃদ্ধ এটি একটি অনবদ্য স্থাপত্য।



৪০. সবরমতি আশ্রম


✤ সময়কাল ➙ ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ আমেদাবাদ (গুজরাট)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মহাত্মা গান্ধী

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ গান্ধীজীর বাসস্থান। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ এই আশ্রম থেকে ডান্ডির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং সমুদ্রের জল থেকে লবণ প্রস্তুত করে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করেন।



৪১. আনন্দভবন


✤ সময়কাল ➙ ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ) (উত্তরপ্রদেশ)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ মতিলাল নেহেরু

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এটি মতিলাল নেহেরুর বাসস্থান। পরবর্তীকালে ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাসস্থান। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ইন্দিরা গান্ধী ভারত সরকারকে এই জায়গাটি সংগ্রহশালা করবার উদ্দেশ্যে দান করেন।



৪২. ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস (ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস)


✤ সময়কাল ➙ ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ মুম্বাই (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ ফ্রেডরিক উইলিয়াম স্টিভেন্স

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশন। ১৯৯৬ সালে 'ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস' নামকরণ হয়। ২০০৪ সালে UNESCO এই রেলস্টেশন কে বিশ্ব-ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়।



৪৩. পার্লামেন্ট ভবন


✤ সময়কাল ➙ ১৯২১-১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ নিউদিল্লি (লুটেনস জোন)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ এডউইন লুটেনস এবং হার্বার্ড বেকার

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ভারতবর্ষের আইনসভা এখানেই বসে এবং এখানেই ভারতবর্ষের আইন তৈরি হয়। এটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট। উপরের কক্ষকে বলা হয় রাজ্যসভা অন্যদিকে নিম্নকক্ষকে বলা হয় লোকসভা।



৪৪. রাইসিনা হিলস


✤ সময়কাল ➙ ১৯১২-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ নিউদিল্লি (লুটেনস জোন)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ এডউইন লুটেনস

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এটি ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতির বাসস্থান। একে 'রাষ্ট্রপতি ভবন' বলা হয়ে থাকে।



৪৫. গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া


✤ সময়কাল ➙ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ মুম্বাই (মহারাষ্ট্র)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ জর্জ উইটেট

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ ৮৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই স্থাপত্যটি জলপথে ভারতবর্ষের প্রবেশদ্বার। প্রতিদিন প্রচুর বৈদেশিক জাহাজ এখানে এসে জড়ো হয়।



৪৬. ইন্ডিয়া গেট


✤ সময়কাল ➙ ১৯২১-১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ নিউদিল্লি (লুটেনস জোন)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ এডউইন লুটেনস

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধার্ঘ্যে এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করা হয়। এখানে জ্বলন্ত অমরজ্যোতি কখনো নেভানো হয় না।



৪৭. স্ট্যাচু অফ ইউনিটি


✤ সময়কাল ➙ ২০১৩-২০১৮ খ্রিস্টাব্দ

✤ অবস্থান ➙ কেওরিয়া (গুজরাত)

✤ প্রতিষ্ঠাতা ➙ রাম বানজি সুতর

✤ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ➙ এটি ভারতবর্ষের উচ্চতম মানবমূর্তি। স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী তথা প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেলের শ্রদ্ধার্ঘ্যে এই মূর্তি নির্মাণ করা হয়।




নমুনা প্রশ্নোত্তর


প্রশ্নঃ তাজমহল কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ মুঘল সম্রাট শাহজাহান।


প্রশ্নঃ তাজমহল কোন রাজ্যে অবস্থিত?

উত্তরঃ উত্তরপ্রদেশের আগ্রা শহরে অবস্থিত।


প্রশ্নঃ তাজমহল কার স্মৃতির উদ্দেশ্যে শাহজাহান তৈরি করেন?

উত্তরঃ তার প্রিয় পত্নী মমতাজ মহলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।


প্রশ্নঃ তাজমহল কোন নদীর তীরে অবস্থিত?

উত্তরঃ যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।


প্রশ্নঃ কত সালে ইউনেস্কো তাজমহলকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়?

উত্তরঃ ১৯৮৩ সালে।


প্রশ্নঃ সাঁচির স্তুপ কে নির্মাণ করেন?

উত্তরঃ মৌর্য সম্রাট অশোক।


প্রশ্নঃ সাঁচির স্তুপ কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহরের কাছে।


প্রশ্নঃ কত সালে ইউনেস্কো সাঁচির স্তুপকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি দেয়?

উত্তরঃ ১৯৮৯ সালে।


প্রশ্নঃ অজন্তা গুহা কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ মহারাষ্ট্রে।


প্রশ্নঃ অজন্তা গুহা কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ গুপ্ত রাজবংশ।




Post a Comment

0 Comments

Top Post Ad

Bottom Post Ad