পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্য - Folk Dance of West Bengal || West Bengal GK
![]() |
পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্য - Folk Dance of West Bengal || West Bengal GK |
বাংলা জিকে ডায়েরি 📘
এই পেজে আপনি পাবেন পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্য - Folk Dance of West Bengal || West Bengal GK যেখানে পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্য গুলি বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্য - Folk Dance of West Bengal
➢ আলকাপ নৃত্য:-
☛ এই নৃত্যটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ সম্প্রদায়, বিশেষত মালদায় করে।
☛ আলকাপ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূম জেলা এবং বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে প্রচলিত একটি লোকনাট্য শৈলী।
☛ এই নিত্যটি এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে শিবের গাজন উৎসবের সাথে যুক্ত।
☛ এটি নাচ, গান, নাটক এবং আবৃত্তির সংমিশ্রণ।
☛ এই দলে কোরাস, বাদ্যযন্ত্র শিল্পী, নৃত্যশিল্পী এবং গায়ক অন্তর্ভুক্ত থাকে।
➢ বাউল নৃত্য:-
☛ এই নৃত্য বাউলদের ধর্মীয় আচারের অংশ।
☛ বাউল গানগুলির ধরণ আধ্যাত্মিক এবং এই গানগুলি গাওয়ার সময় বাউলরা নাচতে শুরু করে।
☛ তারা তাদের ডান হাতে একটি একতারা ধরে রাখে।
☛ কেউ কেউ পায়ের গোড়ালির চারপাশে ঘুঙুর পরেন।
☛ একতারা এই নৃত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
☛ এই নৃত্যটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় জনপ্রিয়।
➢ ভাদু নৃত্য:-
☛ ভাদু নৃত্য প্রধানত বর্ষাকালে পরিবেশিত হয়।
☛ উৎসবের সময়, গ্রামবাসীরা প্রচুর ফসলের জন্য ভাদুর কাছ থেকে আশীর্বাদ চান।
☛ বিবাহিত এবং অবিবাহিত উভয় মহিলাই ভাদু নৃত্য পরিবেশন করেন।
☛ বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম জেলায় এই নৃত্য জনপ্রিয়।
➢ বুড়া-বুড়ি নাচ:-
☛ বুড়া-বুড়ি পশ্চিমবঙ্গের একই সাধারণ নৃত্য।
☛ এই নৃত্যে নৃত্যশিল্পীরা তাদের চরম বয়স চিত্রিত করার জন্য বৃদ্ধ পুরুষ এবং মহিলার মুখোশ পরেন।
☛ এটি কলকাতার বানজারা নৃত্য অনুরূপ।
☛ নৃত্যশিল্পীরা গান এবং গ্রাম বাজিয়ে ছন্দের সাথে নৃত্য করেন।
☛ এটি বিবাহিত দম্পতির দীর্ঘ আনন্দময় যাত্রার প্রতিনিধিত্ব করে।
➢ বৃতা ও কালী নৃত্য:-
☛ বৃতা নৃত্য সাধারণত কোন প্রাণঘাতী রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে দেবতাদের ধন্যবাদ প্রদর্শন হিসাবে পরিবেশন করা হয়।
☛ এই নৃত্যে, নৃত্যশিল্পী মুখোশ পরে তরবারি নাড়িয়ে নৃত্য করেন।
☛ কালী নাচ হল দেবী কালীকে উৎসর্গ করা একটি নৃত্য।
☛ এই নৃত্যে নৃত্যশিল্পী একটি কালো মুখোশ পরেন যা দেবী কালীকে তার বৈশিষ্ট্যযুক্ত রক্ত-লাল জিহ্বার সাথে চিত্রিত করে।
☛ ড্রাম এই নৃত্যের প্রধান বাদ্যযন্ত্র।
➢ ছৌ নৃত্য:-
☛ ছৌ একটি মুখোশ নৃত্য, যা পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া-বাঁকুড়া অঞ্চলে পরিবেশিত হয়।
☛ এটি তিনটি শৈলীতে দেখা যায়, যেগুলি হল বাংলার পুরুলিয়া ছৌ, ঝাড়খণ্ডের সরাইকেল্লা ছৌ এবং ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ ছৌ।
☛ ছৌ মূলত বাংলা বর্ষপঞ্জিতে চৈত্র মাসের শেষের দিকে (মার্চ-এপ্রিল) সূর্য উৎসব উপলক্ষে পরিবেশিত হয়।
☛ এই নিত্যশৈলীতে, নৃত্যশিল্পীরা ঢাল, তরোয়াল এবং লাঠি নিয়ে অভিনয় করেন।
☛ ছৌ নৃত্যটি রামায়ণ এবং মহাভারতের বিভিন্ন পর্বের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
☛ এটি একটি যুদ্ধের মতন নৃত্য যেখানে নৃত্যশিল্পীরা ঘুরে বেড়ায়, হাঁটু গেড়ে বসে এবং হঠাৎ করে তাদের বিরোধীদের সামনে এগিয়ে যায়।
☛ নৃত্যটি একটি বৃত্তাকার অঞ্চলে পরিবেশিত হয় যার চারপাশে সঙ্গীতশিল্পীরা বসেন।
☛ এই নৃত্যে ব্যবহৃত প্রধান বাদ্যযন্ত্র গুলি হল ড্রাম এবং সানাই।
☛ পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ লিস্ট অফ ডান্সেস'এর তালিকাভুক্ত।
➢ ছোকরা নৃত্য:-
☛ এই নৃত্যটি তরুণরা আলকাপ গানে মহিলাদের ভূমিকা পালন করে।
☛ এই নৃত্যটি একটি উন্মুক্ত মাঠে ক্যানোপিড মঞ্চে পরিবেশন করা হয়।
☛ এটি একটি সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।
☛ সঙ্গীত শিল্পীরা মঞ্চের পাশে বসে নৃত্যের জন্য সঙ্গীত সরবরাহ করেন।
☛ এই নৃত্যে মেয়েদের পোশাক পরিহিত অল্পবয়সী ছেলেরা অংশ নেয়।
☛ প্রাপ্তবয়স্ক শ্রোতাদের জন্য গভীর রাতে এর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
☛ রাধা এবং কৃষ্ণের গল্প এই নৃত্যশৈলীর একটি জনপ্রিয় থিম।
☛ এটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ এবং মালদা অঞ্চলে প্রদর্শিত হয়।
➢ ঢালী নৃত্য:-
☛ এটি রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজত্বকালে উদ্ভূত এবং বিকাশিত হয়েছিল।
☛ ঢালী নৃত্য দুই ব্যক্তির মধ্যে সঞ্চালিত হয় যারা বেতের বোনা ঢাল এবং বাসের লাঠি ব্যবহার করেন।
☛ ড্রাম এবং পিতলের খঞ্জনী বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
☛ এই নৃত্যের মূল উদ্দেশ্য হল নৃত্যশিল্পীদের শারীরিক ও পেশিগত দক্ষতা প্রদর্শন করা।
☛ নাচ শুরু করার জন্য সঙ্গীতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে দুই যোদ্ধা একে অপরের মুখোমুখি হন এবং তারপরে দাঁড়িয়ে বা হাঁটু গেড়ে তাদের আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন।
☛ ঢালী নৃত্য সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের লোকমেলায় আয়োজন করা হয়।
➢ ফকির নাচ:-
☛ এই নৃত্যটি মাদার পীরের অনুসারীরা তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবেশন করে।
☛ ভক্তরা লম্বা, আলগা পোশাক পরে চৈত্রের শেষে (মার্চ-এপ্রিল) পীরের সমাধিতে জড়ো হন এবং মোমবাতি ও ধুপ জ্বালান।
☛ লাল রঙের একটি বাঁশ, যার উপরে চামর (fly whisk) থাকে, সেটিকে পীরের প্রতীক হিসাবে উৎসর্গ করা হয়।
☛ একজন ভক্ত তার কাঁধে বাঁশ বহন করে এবং অন্যরা তাকে অনুসরণ করে।
☛ তারা পায়ের গোড়ালি চারপাশে ঘন্টা পরেন।
☛ পীরকে উৎসর্গ করার জন্য একটি আগুন জালানো হয় এবং তার উপর মাংস পোড়ানো হয়।
☛ ভক্তরা আগুনের চারপাশে নৃত্য করে এবং সঙ্গীতের তালে মাথা নাড়ায়।
➢ গাজন:-
☛ এটি বাংলার কিছু অংশে চৈত্র মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি খুব জনপ্রিয় উৎসব।
☛ ভগবান শিব এবং দেবী পার্বতীর প্রশংসায় গাজন গান গাওয়া হয়।
☛ গান এবং নাচই এই উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
☛ নৃত্যশিল্পীরা মাঝে মাঝে হর পার্বতীর পোশাক পরে ঢোল, কাশর এবং বাঁশির সাথে নাচতে নাচতে গ্রামে ঘুরে বেড়ায়।
☛ মালদা ও মুর্শিদাবাদে এটি বোলান নামে পরিচিত।
➢ গম্ভীরা নৃত্য:-
☛ এই নৃত্যটি একজোড়া নৃত্যশিল্পী দ্বারা পরিবেশিত হয়, একজন দাদুর প্রতিনিধিত্ব করে এবং অন্যজন নাতির।
☛ নৃত্যের চরিত্রগুলি তাদের নৃত্যের মাধ্যমে সমসাময়িক সামাজিক, রাজনৈতিক এবং নৈতিক উদ্বেগকে প্রদর্শন করে।
☛ নিত্যটিতে গদ্য এবং পদ্য উভয় ক্ষেত্রেই গান এবং সংলাপ জড়িত।
☛ নৃত্যে ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্র গুলি হল হারমোনিয়াম, বাঁশি এবং ঢাক।
☛ এই নৃত্যে শিল্পীরা মুখোশ পরেন।
☛ এই নৃত্যটি উত্তরবঙ্গে, বিশেষত মালদা জেলায় জনপ্রিয়।
➢ গৌড়িয় নৃত্য:-
☛ 'গৌড়ীয়' শব্দটি আক্ষরিক অর্থে 'গৌড়' শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ 'পুরাতন বাংলা'।
☛ এই নৃত্যশৈলীটি নাট্যশাস্ত্র থেকে উদ্ভূত, যা ভারতীয় নৃত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ।
☛ গৌড়ীয় নৃত্য সাহিত্য, ভাস্কর্য এবং চিত্রকলার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
☛ গৌড়ীয় নৃত্যের মধ্যে রয়েছে 'ছৌ' যা একটি বিরত্বপূর্ণ নৃত্য, 'নাচনি' যা রোমান্টিক, 'কুশান' যা রামায়ণের লব এবং কুশের গল্প এবং 'কীর্তন' যা ভক্তিমূলক।
☛ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মহুয়া মুখার্জী এই পুরানো শাস্ত্রীয় নৃত্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন।
➢ ঘাটু নাচ:-
☛ এই নৃত্যটিতে ঘাটু গানও থাকে।
☛ এর কোন ধর্মীয় বা সামাজিক ভিত্তি নেই, এর উদ্দেশ্য কেবলমাত্র দর্শকদের বিনোদন দেওয়া।
☛ এক বা একাধিক কিশোর ছেলে মেয়েরা একই পোশাক পরে এই নৃত্যটি পরিবেশন করে যা এর প্রধান আকর্ষণ।
☛ ঘাটু গানগুলি সাধারণত রাধা এবং কৃষ্ণের গল্পের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
☛ একজন গান গায়, অন্যরা নাচে।
☛ ঢোল, খঞ্জনি, বাঁশি এবং সারিন্দা এই নাচের প্রধান বাদ্যযন্ত্র।
☛ আজকাল হারমোনিয়ামও ব্যবহার করা হচ্ছে।
➢ যাত্রা:-
☛ বাংলাভাষী মানুষদের মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় লোকনাট্য।
☛ যাত্রা শব্দটির অর্থ শোভাযাত্রা এবং ষোড়শ শতাব্দীতে চৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক পূর্ব-ভারতে আনা বৈষ্ণব আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে এটির উদ্ভব হয়।
☛ এই নৃত্যশৈলীতে, দুটি বৈশিষ্ট্য দর্শকদের আগ্রহ ধরে রাখে যা হল বিবেক এবং নিয়তি (ভাগ্য)।
➢ জারি নাচ:-
☛ এই নৃত্যটি জারি গানের সাথে যুক্ত এবং সাধারণত শিয়া মুসলমানদের দ্বারা পরিবেশিত হয়।
☛ এটি মহরমের সময় সংঘটিত হয়।
☛ প্রায় 8-10 জোয়ান যুবক একটি জারি নাচের দল গঠন করে।
☛ দলটির নেতাকে ওস্তাদ বলা হয় এবং অন্যদের দোহার বলা হয়।
➢ ঝুমুর নাচ:-
☛ পুরুলিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া এবং বর্ধমান থেকে এই নৃত্যের বিভিন্ন রূপ উদ্ভূত হয়েছে।
☛ নাচটি মেয়েরা পরিবেশন করে এবং ছেলেরা ঢোল ও মাদোল বাজায়।
☛ এই নৃত্যের সাথে গাওয়া হয় দ্রুতগতির ঝুমুর গান।
➢ খেমটা নাচ:-
☛ এটি পশ্চিমবঙ্গের লোকনৃত্যের একটি জনপ্রিয় রূপ যা 30-40 বছর আগে উদ্ভূত হয়েছিল।
☛ এটি একটি ভক্তিমূলক ধরনের নৃত্য যা পেশাদার মহিলা নৃত্যশিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হয়।
☛ এই ধরনের নাচ জনপ্রিয় এবং জন্মদিন ও বিবাহ উদযাপনের সময় করা হয়।
☛ দুর্গাপূজা এবং দোলযাত্রার জনপ্রিয় উৎসবের সময় এটি পরিবেশন করা হয়, ঐতিহাসিকভাবে এই নৃত্যটি বড় জমিদারদের প্রাঙ্গনে পরিবেশন করা হত।
☛ নৃত্য পরিবেশনের সময় গাওয়া গানগুলি ভগবান কৃষ্ণ এবং রাধার প্রেম কাহিনীকে তুলে ধরে।
☛ এই নৃত্য পরিবেশনের সময় তবলা, সারঙ্গী, হারমোনিয়াম, ঢোল এবং খঞ্জনী-র মত বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
➢ কীর্তন:-
☛ এটি পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক প্রদর্শিত নৃত্যশৈলীগুলির মধ্যে একটি।
☛ নৃত্যটি ভগবান বিষ্ণুর উপাসনায় নিবেদিত। খুব বিখ্যাত ধর্মীয় পুনর্জাগরণবাদী 'চৈতন্যদেব' এই নৃত্যটিকে একটি যথাযথ এবং অনন্য রূপ দিয়েছিলেন।
☛ এই নাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এটি জাতি, শ্রেণী, এবং ধর্মের ভিত্তিতে কোন বৈষম্য ছাড়াই পুরো গ্রামের সদস্যদের দ্বারা পরিবেশিত হয়।
☛ নৃত্য পরিবেশন করার সময় খোল এবং খঞ্জনি-র মত বাদ্যযন্ত্রগুলি সাধারণত ব্যবহৃত হয়।
☛ নৃত্যটি খুব সহজ যেখানে একটি অনন্য বৃত্তাকার ভঙ্গিতে নড়াচড়া করে এবং তালে তালে হাত উপরে ও নিচে নামিয়ে নাচ করে।
☛ নাচটি স্থানীয়ভাবে 'নগর কীর্তন' নামে পরিচিত যখন নাচটি গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি শোভাযাত্রার মাধ্যমে করা হয়।
➢ লাঠি নাচ:-
☛ মহরমের সময় একদল যুবক লাঠি নৃত্য পরিবেশন করে।
☛ যুবকরা ক্লোজ-ফিটিং পোশাক পরে এবং মাঝে মাঝে তাদের গোড়ালির চারপাশে ঘন্টা বেঁধে দেয়।
☛ তাদের হাতে প্রায় ৪-৫ ফুট লম্বা বাঁশের লাঠি থাকে।
☛ তারা তলোয়ার এবং ছুরিও বহন করে।
☛ লাঠি নৃত্য হল অর্ধেক নৃত্য এবং অর্ধেক খেলাধুলা।
➢ পুতুল নাচ:-
☛ পুতুল নাচে তিন ধরনের পুতুল রয়েছে যেমন রড পুতুল, তারের পুতুল এবং গ্লাভস পুতুল।
☛ এই তিনটি ধরনের পুতুল বিভিন্ন পুতুল নৃত্য সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়।
☛ পুতুলশিল্পী তারের পুতুল গুলিকে তার দিয়ে চালিত করে যাতে পুতুলগুলিকে নাচতে দেখা যায়।
☛ সংগীতশিল্পীরা তখন তাদের ঢোল, খঞ্জনি এবং বাঁশি বাজায় এবং গান গায়
☛ রড পুতুল এবং তারের পুতুলগুলি সাধারণত রাধা-কৃষ্ণ এবং রাম-সীতার গল্পের উপর পালাগান বা আখ্যান নাটক উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
☛ পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলায় রড পুতুল এবং নদীয়া জেলায় স্ট্রিং পুতুল এখনও জনপ্রিয়।
☛ গ্লাবস পুতুল নাচ একটি পুরুষ মহিলা জুটি।
☛ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বর্ধমান জেলার কাহার শ্রেণীর কিছু লোক পুতুল নাচের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে।
➢ রাভা নৃত্য:-
☛ এই নৃত্যটি রাভা সম্প্রদায়ের মহিলাদের দ্বারা পরিবেশিত হয়।
☛ নৃত্যগুলি ছন্দময় এবং সুরেলা সঙ্গীতের সাথে পরিবেশিত হয়।
☛ নৃত্যের থিম গুলি দৈনন্দিন জীবনের কাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসবের আনন্দ পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
☛ পশ্চিমবঙ্গের এই নৃত্যশৈলীটি রাজ্যের উত্তর অংশে প্রচলিত।
➢ রায়বংশ নৃত্য:-
☛ এই মৃত্যুটি লাঠি নৃত্যের অনুরুপ একটি যুদ্ধের মত নৃত্য।
☛ নৃত্যশিল্পীরা শক্তিশালী বাঁশের খুটি বহন করেন যা রায়বংশ নামে পরিচিত।
☛ তারা তলোয়ার এবং বর্শাও ব্যবহার করে।
☛ হিন্দু ও মুসলমান উভয়ই এই নৃত্যে অংশ নেয়।
☛ এটি মূলত পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় জনপ্রিয়।
➢ রবীন্দ্র নৃত্য:-
☛ নৃত্যক একটি ফাইন আর্ট (fine art) হিসাবে পুনর্বাসনের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কৃতিত্ব দেওয়া হয় যা তার শিক্ষার প্রাঙ্গনে শেখানো হত।
☛ শান্তিনিকেতনে তার বিশ্ববিদ্যালয় এবং পড়ে তার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তিনি রবীন্দ্র নৃত্য প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেছিলেন
☛ ঐতিহ্যগতভাবে এই নৃত্যটি 'রবীন্দ্র সঙ্গীত'-এর সাথে পরিবেশন করা হত।
➢ টুসু পরব নাচ:-
☛ টুসু পরব একটি মৌসুমী নৃত্য এবং এটি শুধুমাত্র পৌষ মাসে (ডিসেম্বর জানুয়ারি) পরিবেশিত হয়।
☛ এই মাসে প্রতিদিন, যুবতীরা একত্রিত হয় এবং টুসু গান নামে পরিচিত গানগুলিতে নাচ করে।
☛ এটি পশ্চিমবঙ্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। মকর সংক্রান্তি উৎসবের প্রধান আকর্ষণ।
☛ মকর সংক্রান্তির দিন, লোকেরা পুকুর বা নদীর চারপাশে জড়ো হয়।
☛ দেবী টুসুর কাছে প্রার্থনা করার পরে, লোকেরা নদী বা পুকুরের তীরে গান করে এবং নাচ করে।
☛ বিশেষ করে অল্পবয়সী মেয়ের ভালো বর পাওয়ার জন্য দেবী টুসুর মাটি এবং গোবরের মূর্তির পূজা করে।
☛ গানের জন্য কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয় না।
☛ গ্রামবাসীরা সমৃদ্ধির জন্য লোকদেবী টুসুর কাছে প্রার্থনা করে।
Read More...
◾ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উপজাতি - Tribes of West Bengal
◾ বাঙালি কবি ও লেখকদের ছদ্মনামের তালিকা
◾ ভারতের মৃত্তিকা, শ্রেণীবিভাগ ও বৈশিষ্ট্য
Please do not enter any spam link in the comment box.